নির্বাচন পর্যবেক্ষণে শিগগিরই আসবে ইউউ এবং কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল

Post Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি এক্সপার্ট মিশন শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া কমনওয়েলথের নির্বাচন পূর্ব অ্যাসেসমেন্ট মিশন ১৮-২২ নভেম্বর ঢাকায় অবস্থান করবে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

তিনি জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে চার সদস্য বিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সপার্ট মিশন। নির্বাচন কমিশনে আরও কিছু আগ্রহী পর্যবেক্ষক দল আবেদন করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সম্পর্কিত কোনো তালিকা নেই। তালিকা পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।

জাতীয় নির্বাচনে সহযোগিতা প্রদানের জন্য কোন দেশ বা সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়নি বলেও জানান এ মুখপাত্র। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্যমতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী? আপনারা কী মনে করেন এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের টু প্লাস টু সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এ সংলাপ হয় ভারতের নয়াদিল্লীতে। টু প্লাস টু সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানা দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু কী আসবে না আসবে তা দু দেশের নিজস্ব ব্যাপার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়ে অবগত আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূতের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ছুটিতে দেশের বাহিরে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত আছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্যটা পাবলিকলি জানাবে না। একজন রাষ্ট্রদূত কোথায় গেছেন কতদিনের জন্য যাচ্ছেন, এটা কিন্তু অফিসিয়ালি জানাতে হয়। এটা কিন্তু পাবলিকলি জানানোর কথা না। 

বিদেশি দূতদের অবস্থান বিষয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বিষয়ে সেহেলী সাবরীন বলেন, প্রটোকল অনুযায়ী আমরা যেটা অনুসরণ করি এটা কিন্তু বাংলাদেশে যারা বিদেশি মিশন প্রধান বা রাষ্ট্রদূত আছেন, তারা যখন স্টেশন লিভ করেন তারা আমাদের প্রটোকলকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে যান। একইভাবে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যখন লিভ করেন হেডকোয়ার্টারকে জানাতে হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এবং ওখানকার সরকারকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে আসতে হয়। এছাড়া তার অবর্তমানে যাকে দায়িত্বে দেওয়া হয় তার নামটা প্রকাশ করতে হয়। এটা একটা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। 

ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সস্ত্রীক শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর উদ্দেশে দুপুরে ঢাকা ছেড়ে গেছেন।